How to Relief Chikungunya disease/কীভাবে চিকুনগুনিয়ার রোগ থেকে সুস্থ থাকবেন!
কীভাবে চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
চিকুনগুনিয়া
একটি মশা ও বাহিত রোগ যা একটি মারাত্মক ফ্লু-এর মতো অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং কখনও কখনও
জটিলতা সৃষ্টি করে যাকে চিকুনগুনিয়া
জ্বর ও ডেঙ্গু বলা হয়। চিকুনগুনিয়া একটি দ্রুত উদীয়মান
মহামারী-প্রবণ ভাইরাল রোগ যা বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়ার বেশ কয়েকটি
দেশে বছরের এই সময়টিতে অস্বাভাবিকভাবে এ রোগে আক্রান্তের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে
বর্ষা মৌসুম আসার সাথে সাথে এ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২.৫ বিলিয়ন মানুষ চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর ঝুঁকির মধ্যে, প্রায় ৬০% এশিয়া মহাসাগরীয় দেশগুলিতে বাস করে। এর প্রধান কারণ জলবায়ু পরিস্থিতি, অপরিষ্কার পরিবেশ, অপরিকল্পিত শহুরে বসতি এবং দ্রুত নগরায়নের ফলে মশার প্রজনন বৃদ্ধি, বিশেষ করে শহুরে এবং আধা-শহুর এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকা সহ ইত্যাদি। তাই নিরাপদ পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানুষের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ সমূহঃ
চিকুনগুনিয়া হালকা লক্ষণগুলি অন্যান্য অসুস্থতার সাথে বিভ্রান্ত হতে পারে যেমন জ্বর, গলা ব্যথা বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ দেখাচ্ছে মানুষের শরীরের গ্রাফিক হল জ্বর: চোখের ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, পেশী ব্যথা, ফুসকুড়ি, হাড়ের ব্যথা, বমি বমি ভাব/বমি, জয়েন্টের ব্যথা।চিকুনগুনিয়া জ্বরের সতর্কতা ও লক্ষণ
যা একটি জীবনে-হুমকি জরুরী-দ্রুত বিকাশ করতে
পারে। আপনার জ্বর চলে যাওয়ার পর সাধারণত সতর্কতা লক্ষণগুলি প্রথম বা দুই দিনের মধ্যে
শুরু হয় এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমনঃ তীব্র পেট ব্যথা, ক্রমাগত বমি, আপনার
আপনার প্রস্রাবে রক্ত, মল বা বমি, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, যা দেখতে ক্ষত হতে পারে,
কঠিন বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া, ক্লান্তি, বিরক্তি বা অস্থিরতা।
কীভাবে চিকুনগুনিয়ার রোগ থেকে সুস্থ থাকবেন:
নিরাপদ পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানুষের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ওয়াশ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের পূর্বশর্ত নয়, জীবিকা, স্কুলে উপস্থিতি এবং মর্যাদায় অবদান রাখে এবং সুস্থ পরিবেশে বসবাসকারী স্থিতিস্থাপক সম্প্রদায় তৈরি করতে সাহায্য করে।- চিকুনগুনিয়ার ও ডেঙ্গু এই দুইটি রোগের জন্যই দায়ী এডিস মশা সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার আগে এডিস মশা কামড়ায়। ফলে এই দুই সময়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে
- হালকা রঙের, লম্বা হাতের শার্ট এবং প্যান্ট পরুন এবং পোকা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। বাড়িতে, জানালা এবং দরজার পর্দা ব্যবহার করুন, বিছানার ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন এবং মশার প্রজনন স্থানগুলি ধ্বংস করতে সাপ্তাহিক আপনার চারপাশ পরিষ্কার করুন।
- বাড়ির ছাদে বা বারান্দার ফুলের টবে, নির্মাণাধীন ভবনে, বাতিল টায়ার কিংবা প্লাস্টিক কন্টেইনার- কোথাও যাতে তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি পানি জমা না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে
- মশার কামড় থেকে বাঁচতে নানা ধরণের রিপেলেন্ট অর্থাৎ মশা তাড়ানোর পণ্য যেমন বিভিন্ন ধরণের কয়েল, স্প্রে, ক্রিম জাতীয় পণ্য ব্যবহার করা, তবে এর মাত্রা ও প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
- এগুলো সবই মশাবাহিত রোগ। এ থেকে আক্রান্ত হবার আগের সতর্কতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
পাশাপাশি শারীরিক বিশ্রাম জরুরী ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। তরল কোমল পানীয়ও যেমন, জুস, লেবু জুস, মাল্টা জুস ও খাবার স্যালাইন সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেতে হবে।
মশা তাড়ানোর কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও উপায়:
অনেক বছর ধরে মশা তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো যা আপনার কাজেও আসতে পারে:- নিমে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ রয়েছে। প্রাচীনকালে মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করা হত। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে নিলে মশা ধারে-কাছেও ভিড়বে না বলে প্রচলিত।
- বলা হয়ে থাকে মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়।
- লেবু আর লবঙ্গ একসঙ্গে রেখে দিলে ঘরে মশা থাকে না বলে প্রচলিত আছে। এগুলো জানালায় রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না
- ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালালে চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা-মাছি পালিয়ে যাবে। কিন্তু এতে শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হবে না।