Bengali rhymes and poems for children/সোনামনির বাংলা ছড়া ও কবিতা
বাংলা ছড়া
খোকন
খোকন
ডাক
পাড়ি
- রোকনুজ্জামান
খান খোকন
খোকন ডাক
পাড়ি
খোকন মোদের
কার বাড়ি?
আয়রে খোকন
ঘরে আয়
দুধ মাখা
ভাত কাকে
খায়।
|
বাক্ বাক্কুম পায়রা
- রোকনুজ্জামান খান বাক্ বাক্কুম
পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজেব কাল কি
চড়বে
সোনার পালকি। |
কানা
বগীর ছা
-খান মুহাম্মদ
মঈনুদ্দিন
ঐ দেখা যায় তাল গাছ।
ঐ আমাদের গাঁ।
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।
ও বগী তুই খাস কি ?
পান্তা ভাত চাস কি ?
পান্তা আমি খাই না
পুটি মাছ পাই না
একটা যদি পাই
আমনি ধরে গাপুস গুপস খাই।
|
বাবুরাম
সাপুরে
- সূকুমার রায় বাবুরাম সাপুরে ,
কোথায় যাস বাপুরে ?
আয় বাবা দেখে যা , দুটো সাপ রেখে যা!
যে সাপের চোখ্ নেই , শিং নেই নোখ নেই,
ছোটে নাকো হাঁটে না,কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁস ফাঁস, মারে নাকো ঢুঁশ্ ঢাঁশ,
নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধভাত
সেই সাপ জ্যাম্ত গোটা দুই আনত, তেড়ে মেরে ঠাণ্ডা, মেরে দেবো ডান্ডা । |
ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি
ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি
মোদের বাড়ি এসো। খাট নাই পালং নাই আসন পেতে বসো। বাটা ভরা পান দেবো গাল ভরে খেয়ো। বিন্নি ধানের খই দেবো আঁচল পেতে নিও। খোকার চোখে ঘুম নাই ঘুম এনে দিও। |
আয় চাঁদ মামা আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা। চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা। ধান ভাঙলে কুড়ো দেব মাছ কাটলে মুড়ো দেব, কালো গরুর দুধ দেব দুধ খাওয়ার বাটি দেব, আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা। |
খোকা ঘুমালো খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো,
বর্গী এলোদেশে।
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?
ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি?
আর কটা দিন সবুর করো রসূন বুনেছি।
|
নোটন
নোটন
পায়রা ওপারেতে
ছেলেমেয়ে নাইতে নেমেছে।
দুই
ধারে দুই
রুই কাতলা
ভেসে উঠেছে।
কে
দেখেছে কে
দেখেছে দাদা
দেখেছে।
দাদার
হাতে কলম
ছিলো ছুড়ে
মেরেছে ,
উঃ
বড্ড লেলেছে। |
আগডুম বাগডুম আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে
ডাক-ঢোল ঝাঁঝর বাজে
বাজতে বাজতে চলল ঢুলি
ঢুলি গেল কমলাফুলি
কমলাফুলির টিয়েটা
সুর্যি মামার বিয়েটা। |
গোল করোনা গোল করোনা
গোল করোনা,
ছোটন ঘুমায়
খাটে
এই ঘুমকে
কিনতে হল নওয়াব বাড়ির হাটে।
সোনা নয়,
রূপা নয়, দিলাম মোতির মালা
তাই তো
ছোটন ঘুমিয়ে আছে ঘর করে উজালা। |
খোকা গেল মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে,
ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে
মাছ নিয়ে গেল চিলে।
|
কে মেরেছে কে ধরেছে কে মেরেছে কে ধরেছে
কে দিয়েছে গাল ?
তাইতো খুকু রাগ করেছে
ভাত খায়নি কাল।
|
এলো
চুলে সোনা বউ এলো চুলে সোনা বউ
আলতা দিয়ে পায় ।
নোলক নাকে, কলসি কাঁখে,
জল আনতে যায় ।
|
সিংহ মামা সিংহ মামা মাংস খেতে চাও?
রাজহাস দেব তোমায়
হিংসা ভুলে যাও। |
দোল দোল দুলুনি
দোল দোল দুলুনি রাঙা মাথায় চিরুনি, বর আসবে যখনি নিয়ে যাবে তখনি। |
ইতল বিতল সুফিয়া কামাল ইতল বিতল
গাছের পাতা
গাছের তলায় ব্যাঙের মাথা।
বৃষ্টি পড়ে ভাঙ্গে ছাতা
ডোবায় ডুবে ব্যাঙের মাথা। |
এলো
চুলে সোনা বউ এলো চুলে সোনা বউ
আলতা দিয়ে পায় ।
নোলক নাকে, কলসি কাঁখে,
জল আনতে যায় ।
|
পুঁটু নাচে কোন খানে পুঁটু নাচে কোন খানে? শতদলের মাঝখানে। সেখানে পুঁটু কী করে? চুল ঝাড়ে আর ফুল পাড়ে। |
ছুটি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুটি, আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি।। কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন্ বনে যাই, কোন্ মাঠে যে ছুটে বেড়াই, সকল ছেলে জুটি।। কেয়াপাতায় নৌকো গড়ে’ সাজিয়ে দেব ফুলে, তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেবো, চলবে দুলে দুলে। রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু চরাব আজ বাজিয়ে বেণু, মাখব গায়ে ফুলের রেণু চাঁপার বনে লুটি। আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি। |
প্রভাতী কাজী নজরুল ইসলাম ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠ রে! ঐ ডাকে যুঁই-শাখে ফুল-খুকি ছোটরে! খুলি হাল তুলি পাল ঐ তরী চললো, এইবার এইবার খুকু চোখ খুললো। আলসে নয় সে ওঠে রোজ সকালে রোজ তাই চাঁদা ভাই টিপ দেয় কপালে। আয়রে আয় টিয়ে না ভরা দিয়ে। নাও নিয়ে গেলো বোয়াল মাছে, তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে। ওরে ভোঁদড় ফিরে চা খোকার নাচন দেখে যা। |
প্রার্থনা
- সুফিয়া কামাল তুলি দুই হাত করি মোনাজাত
হে রহিম রহমান
কত সুন্দর করিয়া ধরণী
মোদের করেছ দান,
গাছে ফুল ফল
নদী ভরা জল
পাখির কন্ঠে গান
সকলি তোমার দান৷
মাতা, পিতা, ভাই, বোন ও স্বজন
সব মানুষেরা সবাই আপন
কত মমতায় মধুর করিয়া
ভরিয়া দিয়াছ প্রাণ৷
তাই যেন মোরা তোমারে না ভলি
সরল সহজ সত্ পথে চলি
কত ভাল তমি, কত ভালোবাস
গেয়ে যাই এই গান৷
ঝাল
দিও না ঝোলে
ইলিশ
ভাজা
খেতে
মজা
গরম
গরম হলে । সকাল
বেলা মোরগ ডাকে
উঠতে
মোদের কয়।
তবু
যারা রইল শুয়ে
জ্ঞানী
তারা নয়।
|
কাজলা দিদি
- যতীন্দ্রমোহন বাগচি বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই? পুকুর ধারে লেবুর তলে, থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে, ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই, মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো, দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি তখন, ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে? কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে! দিদির মত ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকাই গিয়ে তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক'রে রবে? আমিও নাই---দিদিও নাই---কেমন মজা হবে! ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল, মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল | ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে, উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল, দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ | বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই? লেবুর তলে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে, ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই, রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই! |