Release new Windows-11"/ উইন্ডোজ-10" বন্ধের ঘোষণা দিয়ে নতুন আপডেট উইন্ডোজ-11" অবমুক্ত করেছে মাইক্রোসফট!


উইন্ডোজ-১০ থেকে উইন্ডোজ-১১
ছয় বছর আগে ‘উইন্ডোজ-10’ বাজারে ছেড়ে ছিলো মাইক্রোসফট। তখন অপারেটিং সিস্টেমটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলেছিলো, এটিই হলো তাদের সর্বশেষ সংস্করণ। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে চলতি মাসেই  আসছে  ‘উইন্ডোজ-11”  তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো, উইন্ডোজ-10’ র সাপোর্টও ২০২৫ সাল নাগাদ বন্ধ করবে মাইক্রোসফট! কিন্তু পুরনো অপারেটিং সিস্টেম গুলোর চেয়ে ভালই ছিল উইন্ডোজ 10 এর সুবিধাগুলি যেমনঃ

১। স্টার্ট মেনুর সংযোজন
সর্বাধিক প্রিয় স্টার্ট মেনুটি আবার উইন্ডোজ ১০-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভাল জিনিস হল যে নতুন ওএস স্টার্ট মেনু নিয়ে আসে যা আপনাকে মাউসের একটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনার প্রিয় প্রোগ্রামগুলি অ্যাক্সেস করতে দেয়।

২। সিস্টেম আপডেট
সিস্টেম আপডেটগুলি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে যে আপনি কতক্ষণ একটি OS ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আর মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ এক্সপি এবং উইন্ডোজ ভিস্তার আপডেট পেতে পারবেন না। 
 
৩। গ্রেট ভাইরাস সুরক্ষা
উইন্ডোজ ১০ ভাইরাসের বিরুদ্ধে চমৎকার সুরক্ষা নিয়ে আসে। উন্নত নিরাপত্তা হ্যাকারদের জন্য দূষিত অ্যাপের মাধ্যমে ওএসকে সংক্রমিত করা অনেক কঠিন করে তোলে। উইন্ডোজ হ্যালো নামে নতুন বৈশিষ্ট্যটি আপনাকে আপনার কম্পিউটারটি আনলক করতে আপনার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে দেয়। এছাড়াও, এটি আপনাকে আপনার মুখ স্বীকৃতি এবং আইআরআইএস স্ক্যানার ব্যবহার করে আপনার পিসি আনলক করতে দেয়।এছাড়াও, কম্পিউটার অবাঞ্ছিত সফ্টওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সাথে সাথে ওএস ফাইলগুলি এনক্রিপ্ট করে। সিস্টেম এই উদ্দেশ্যে বিটলকার ব্যবহার করে। এর বাইরে, উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাসও রয়েছে।
 
৪।আপডেট করা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র
উইন্ডোজ 10 এর একটি আপডেট করা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, এই সিস্টেমে অ্যাপ্লিকেশনগুলি চালু/বন্ধ করা সহজ। সুতরাং, আপনি আপনার কম্পিউটার চালু করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়া প্রোগ্রামগুলি বেছে নিতে পারেন।

৫। DirectX 12  
DirectX 12 আজকের গেমারদের জন্য দারুণ খবর ছিল। গেমটি খেলার সময় এই বৈশিষ্ট্যটি কম্পিউটারকে জটিল গণনা করতে সক্ষম করে। এর বাইরে, আপনি কম্পিউটার এবং গ্রাফিক্স কার্ড এই বৈশিষ্ট্য থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারতেন। 
 
কিন্তু বেশ কিছু সমস্যাও ছিল উইন্ডোজ-10  বিশেষ করে মে ২০২০ আপডেটে বেশি সমস্যা দেখা গেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলি এই আপডেটে নষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছিল ফ্রেশস্টার্ট। যার কারনে
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে তারা আর উইন্ডোজ-10 এর কোনো নতুন আপডেট বাজারে আনবে না। এটির নিরাপত্তায় কোনো সাপোর্টও দেবে না। দীর্ঘ দিন ধরে বেশ অস্বস্তিকর সময় পার করছিল উইন্ডোজ-10 ব্যবহারকারীরা।
 
ফোর্বস জানিয়েছে, একাধিক সমস্যার কারণে লাখ লাখ মানুষ এই অপারেটিং সিস্টেম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। এসব সমস্যা নিয়ে ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফটে গত কয়েক মাসে অনেক অভিযোগ করেছেন।
 
উইন্ডোজ-10 নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত এলো ‘উইন্ডোজের পরবর্তী প্রজন্মের’ঘোষণার আগেই! প্রশ্ন উঠেছে, ‘উইন্ডোজ-10’ এর দেখা সত্যিই পাচ্ছে কি-না বিশ্ব। তবে নতুন সংস্করণ না এলেও গুরুত্বপূর্ণ হালনাগাদ যে আসছে, তা মোটামুটি নিশ্চিত।
 
নতুন এই আপডেট অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আনবে জেনে অনেকে মনে প্রশ্ন উঠেছে যে অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসছে সেটি উইন্ডোজ-10 এর চেয়ে সহজ হবে না কঠিন হবে।
নতুন এই আপডেট অপারেটিং সিস্টেমটি ঘোষণার পর থেকেই ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে শুরু করেছে।
 
আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে বিভিন্ন হ্যাকারা। তারা একটি নকল উইন্ডোজ-11 লিঙ্ক তৈরি করে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে উৎসাহও তৈরি করে আসছে। আর ইউজার যখন লিঙ্কটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করছে তখনি হ্যাকারদের খপ্পরে পরছে। এভাবেই হ্যাকারদের আয়ত্তে চলে আসছে ইউজারের কম্পিউটারটি।
 
তাই এই ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করে নকল উইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা যাবে না। এক মাত্র মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো কারণে ইউজারের কম্পিউটারে তা ডাউনলোড বা ইনস্টল না হয়, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী দিনে এই সমস্ত ইউজারদের জন্য মাইক্রোসফট এর পক্ষ থেকে নতুন কোনো ডাউনলোডের লিঙ্ক দেওয়া হবে।
 
নকল উইন্ডোজ-11 থেকে সাবধান!
সম্প্রতি মাইক্রোসফট করপোরেশন তাদের উইন্ডোজের সর্বশেষ সংস্করণ-১১ অবমুক্ত করেছে। এই নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে উৎসাহও রয়েছে অনেক। আর এই বিষয়টিরই এবার সুযোগ নিচ্ছে হ্যাকাররা। ইতি মধ্যে নকল উইন্ডোজ-11 তৈরি করেছে তারা, যা কোনো ইউজার ডাউনলোড করে ইনস্টল করলেই হ্যাকারদের খপ্পরে পড়তে পারেন। কম্পিউটারের জন্য অ্যান্টিভাইরাস প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্যাসপারস্কির রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
 
ক্যাসপারস্কির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নকল উইন্ডোজ-১১ ইনস্টল করার পরিমান আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আর এতে কম্পিউটারগুলোতে অ্যাডওয়্যার এবং সেই সম্পর্কিত ম্যালওয়্যার অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্যাকাররাই উজারদের কাছে উইন্ডোজ-১১ এর ইনস্টলার লিঙ্ক সরবরাহ করছে।
পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, এই লিঙ্কের সাহার্য্যে উইন্ডোজ-১১ ইনস্টল করতে গেলে মাইক্রোসফ্টের ইন সাইডার টেস্টিং রিংয়বাইপাস করা যাবে। আর এই উইন্ডোজ-১১ কেউ ইনস্টল করলেই হ্যাকারদের আয়ত্তে চলে আসছে ইউজারের কম্পিউটারটি।
 
মাইক্রোসফটের রিসার্চ বিভাগ থেকে জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টলের পদ্ধতি ইউজারদের জন্য খুবই সহজ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকেই অন্য জায়গা থেকে উইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করছেন। যার ফলে হ্যাকারদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে।

নকল উইন্ডোজ থেকে বাঁচার উপায়ঃ  

এই ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করে নকল উইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকবেন। এক মাত্র মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ইউইন্ডোজ-১১ টি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবেন। যদি কোনো কারণে আপনার কম্পিউটারে ইউইন্ডোজ-১১ টি ডাউনলোড বা ইনস্টল না হয়, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী দিনে এই সমস্ত ইউজারদের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে নতুন  কোনো ডাউনলোডের লিঙ্ক দেওয়া হবে। যা থেকে সহজেই আপনার কম্পিউটারে ইউইন্ডোজ-১১  ডাউনলোড বা ইনস্টল করতে পারবেন।

ইউইন্ডোজ-১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে আপনার কম্পিউটারে সিস্টেম রিকইয়ারমেন্ট কি কি থাকতে হবে তার বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন

Next Post Previous Post