শরীর সুস্থ রাখার জন্য সহজ ১০টি স্বাস্থ্য 'টিপস'।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সহজ ১০টি স্বাস্থ্য 'টিপস'। |
শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই মন বসানো যায় না। অনর্থক হয়ে যায় সব কিছুই। কেননা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্যই যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনি কি সুখে থাকতে পারবেন? কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে কিছু বিশেষ নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আজকের লেখায় কিছু সহজ স্বাস্থ্য টিপস দেবো, যা মেনে চললে আপনি সর্বদাই ভালো থাকবেন ইনশাআল্লাহ্। নিচে জেনে নিন স্বাস্থ্য টিপস এর নিয়মগুলো।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সহজ ১০টি স্বাস্থ্য টিপস:
১। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার কোমল পানীয় পান করা উচিত৷ ফাস্টফুডকে ‘না’ বলুন, ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়৷ কারন এতে লুকিয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং নানা রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান৷
২। প্রতিদিন নিয়মিত হাটুন
প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটুন৷ এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। হাঁটাহাটি বা ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে৷
৩। খাবারের মেনুতে শাক-সবজি রাখুন
প্রতিদিন খাবারের মেনুতে শাক-সবজি ও মাছ, মাংস রাখুন। এবং ফল খেতে ভুলবেন না। খাবার গ্রহনের সময় কখনোই একবারে বেশি খাবেন না। অল্প করে খান, তবে একটু পর পর।
৪। খাবার ভালোমতো চিবিয়ে খাওয়াঃ
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। খাবার খাওয়ার সময় খাবার চিবিয়ে খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ আপনি যদি খাবার চিবিয়ে না খান তাহলে গলায় আটকে যেতে পারে কিংবা খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে। আর আপনার খাবার খাওয়ার পর সেই খাদ্য যদি হজম না হয় তাহলে বিভিন্ন রোগব্যাধি আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। খাবার চিবিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং শরীরে সেই খাবারগুলো তাড়াতাড়ি কাজ করে পাকস্থলীকে ভালো রাখে সেই সাথে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং শরীর ভালো থাকে।
৫। খাবারে লবণের কম ব্যবহার
রান্নার কাজে সবসময় লবণের ব্যবহার কম করুন ও কাচা লবন খাবারে এড়িয়ে চলুন। সলিড ফ্যাট খাবার, যেমন- ফাস্টফুড, ঘি, মাখন, চিজ ইত্যাদি খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৬। কাজের ফাঁকে একটু বিরতি
কাজের মঝে অবশ্যই একটু ব্রেক নিন। কারণ একটানা কাজ করতে গেলে কিছুটা হলেও শরীরে চাপ পড়ে। তাই কাজের ফাঁকে একটু বিরতি দিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করুন।
৭। সবসময় হাসি-খুশি থাকা
শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো মন খুলে হাসা। আপনি যদি মন খুলে হাসতে পারেন তাহলে খেয়াল করবেন আপনার শরীরের সব ইন্দ্রিয় কেমন জানি গরম হয়ে যাচ্ছে। আর আপনার শরীরের ভেতর এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে। মস্তিষ্ক ভালো থাকে ফ্রেশ হয়। তাই মন খুলে হাসা শরীর ভালো রাখার অন্যতম মাধ্যম।
৮। সময়মত ঘুমানো
প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন এবং খালি পেটে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
৯। নিয়মিত শরীর চেকআপ
নিয়মিত নিজের ওজন, ব্লাড প্রেশার, শরীরে গুলুকোজের পরিমাণ চেক করুন। মাসে অন্তত একবার রেগুলার চেকআপ এর জন্য ডাক্তারের কাছে যান।
১০। নিয়মিত শরীর পরিচর্চা
নিয়মিত নিজের শরীরের চর্চা করুন। প্রতিদিন গসল, পরিষ্কার পরিছন্ন কাপর পরিধান, সময়মত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান ইত্যাদি একটি জীবনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া উপায়ে কিছু জটিল সমস্যার সমাধানঃ
১। মধু নানাগুণের অধিকারী। এক চামুচ মধু ও সামান্য কালোজিরা এক সাথে সেবন করলে অনেক উপকার। গলাব্যথা, মানসিক চাপ, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।
২। পেঁয়াজ হাঁপানি রোগীদের শ্বাসনালীর সংকোচন রোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। পেঁয়াজে রয়েছে ঔষধি গুন।
৩। পেটের পীড়ায় আদা বেশ কার্যকর। আদা মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমিভাব দূর করে।
৪। ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।
৫। কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।
৬। মাঝে মাঝে মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।
৭। স্ট্রোক প্রতিরোধ চা পান করুন। নিয়মিত চা খেলে ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।
৮। যাদের হাত খুব ঘামে তারা লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।
৯। নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান।
১০। হাত পায়ের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে।