Finding Some Kashaban in Dhaka - ঢাকার কাছের কিছু কাশবনের মনোরম দৃশ্য । (Read on bd)

ঢাকার কাছের কিছু কাশবনের মনোরম দৃশ্য
কাশবনের মনোরম দৃশ্য । ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি হল শরৎ কাল। বাংলার আকাশে বাতাসে বহে দক্ষিণা বাতাস। বাংলায় শরৎ মানেই কাশফুল! আকাশে নরম তুলোর মতো শুভ্র মেঘের ভেসে বেড়ানো আর দিগন্তজোড়া প্রান্তরে কাশফুলের মনোরম দৃশ্য। প্রকৃতিপ্রিয় মন আকাশে ভেসে বেড়াতে না পারলেও ইচ্ছে হলেই কাশফুলের রাজ্যে হারিয়ে যেতেই পারে। দক্ষিণা বাতাসে কাশফুলগুলো ঢলে ঢলে কথা বলবে আপনার সঙ্গে।

শরতের কাশফুলের এ রূপ সহজেই যে কারো মনে দোলা দিতে বাধ্য করবে। বন্ধু-বান্ধব বা প্রিয়জনের সাথে অবসর সময় কাটাতে কার না ভাল লাগে একটু ঘুরে আসতে। কিন্তু কোথায় পাবেন এত সুন্দর কাশফুলের রাজ্য? তাই এই আয়োজনে থাকছে ঢাকার আশেপাশে কিছু কাশবনের দৃশ্যের খোঁজখবর।



দিয়াবাড়ি

উত্তরা দিয়াবাড়িতে বিশাল কাশবনের সমারোহ। আপনি চাইলেই অল্প সময় হাতে নিয়েই ঘুরে আস্তে পারেন এখান থেকে। এখানে কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।

আশুলিয়া বেড়িবাঁধ

রাজধানী ঢাকা আব্দুল্লাপুর থেকে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ পার হলেই পাবেন সুন্দর একটি কাশফুলের রাজ্য। সেখানে প্রকৃতি যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। বিকেল গরলেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ উপভোগ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাশেই থাকা নদীতে আপনি চাইলে নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন। এখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে বাস্ত সময় কাটায় ফুসকার দোকানদাররা। এভাবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষের ভিড় থাকে। 

বসুন্ধরা তিনশ’ ফিট সড়ক

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল যেতে হয় তিনশ’ ফিট রাস্তা ধরে। এই রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অসংখ্য কাশবন। চাইলে হেঁটে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায়। রিকশা করেও ঘুরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘণ্টায় প্রতি ভাড়া গুনতে হবে ১৫০ টাকা বা তারও বেশি। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দু-পাশে শুভ্রতার সমারোহ মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কল্পনার রাজ্যে।




আফতাবনগর

রাজধানীর আফতাব নগরের ফাঁকা জমিতে শরতের সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে কাশফুল। পরিবার নিয়ে এই ঋতুতে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। তবে বিকেলে যাওয়াই ভালো। পরিবার নিয়ে গেলে সময় পেলে ওখান থেকে হাতিরঝিলও ঘুরে আসতে পারেন।

কেরানীগঞ্জ

বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা সেতু অতিক্রম করে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে ধরে যেতে থাকলে দেখা পাওয়া যাবে কাশবন। এখানে কাশবনের পরিমান এতই বেশি, পুরো এলাকা কাশফুলে সাদা হয়ে থাকে।

মায়াদ্বীপ

মেঘনার বুকে কাশফুলের মায়া ছড়িয়ে আছে মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপে শুধু কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগই নয়, বোনাস হিসাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে চড়ে বৈদ্দের বাজার এসে সেখান থেকে মেঘনার ঘাট হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মায়াদ্বীপ যাওয়া যায়।

সারিঘাট

ঢাকার মধ্যে কাশফুল দেখার জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা সারিঘাট। পুরান ঢাকার পোস্তাগোলা ব্রিজ থেকে অটো যোগে ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট। নগরের যান্ত্রিক দিক থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটা মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সঙ্গে নৌকা ভ্রমণ আপনার মন ভালো করে দেবে। এখানে এলে হারিয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার চির চেনা প্রকৃতির মাঝে।

টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে

টঙ্গী ব্রিজ বা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর ঘেঁসে হেঁটে নদীর লঞ্জ ঘাট এলাকা পার হলেই দেখা মিলবে সু-বিশাল কাশবনের। বিভিন্ন ফাকা জমিকে মাতিয়ে রেখেছে কাশফুলগুলো। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সঙ্গে নৌকা ভ্রমণ আপনার মনকে রাঙিয়ে দেবে। এখানে এলে হারিয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার চির চেনা প্রকৃতির মাঝে। পাশেই পেয়ে যাবেন বাচ্চাদের বিনোদনমূলক পার্ক।

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ

নদীর তীরবর্তী বালুময় প্রান্তরে শরতে কাশফুলের মেলা বসে। আর বুড়িগঙ্গা তীরের মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ কাশফুলের তেমনি এক রাজ্য। এছাড়াও বসিলা সড়ক ধরে এগিয়ে ওয়াশপুরের বিভিন্ন ফাকা জমিতে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়।
কাশফুল বেশিদিন থাকে না, তাই কাশফুলের ছোঁয়া পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যান আপনার সুবিধা মতো জায়গায়।



Next Post Previous Post