ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২। - International Trade Fair 2022 Bangladesh - DITF 2022

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২ । - International Trade Fair 2022 Bangladesh - DITF 2022

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬ তম সংস্করণ ১ জানুয়ারী, ২০২২ তারিখে রাজধানীর পূর্বাচলে মোট- ২৬.১০ একর জমি উপর সদ্য উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়, নতুন ভেন্যুতে ২৩টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ২২৫টি মতো স্টল স্থাপন করা হবে। এ মেলায় বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার লক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পণ্য প্রদর্শনের জন্য বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে এ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

কিন্তু গত বছর কোভিড সংকটের কারণে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২১ (DITF) বাতিল করা হয়েছিল কিন্তু এখন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (BCFEC)-তে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা - ২০২২ (DITF 2022)-এর ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দেশের রপ্তানি বাস্কেটের প্রচারে এবং দেশীয় ভোক্তাদের জন্য বেশ কিছু নতুন পণ্যের প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী তাদের পণ্য প্রদর্শনের জন্য বিশেষ সুবিধা ভোগ করবেন।

মেলার ভেন্যুতে প্রবেশের ডান পাশে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত প্যাভিলিয়ন থাকবে। হল এ এবং বি-তে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে এবং পিছনের স্টলগুলি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভেন্যুতে একটি প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, খাবারের কোড, অফিস কক্ষ, মেডিকেল রুম, কর্মকর্তাদের জন্য গেস্ট রুম, স্টোর রুম সহ মোট ১৩৯ টি টয়লেট এবং ২,৫০০ মতো গাড়ি পার্কিং এর সুবিধা থাকবে। এবং দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠানস্থলকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২ জন্য অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এক মাসের কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে । প্রতি বছর মেলার বিভিন্ন স্টলে কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশের লোক এ মেলায় কাজ করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মেলা উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই তাদের খণ্ডকালীন কর্মী নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

বাণিজ্য মেলায় যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন, তাদের একটি বড় অংশই আসে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে সদ্য স্নাতক অথবা বর্তমানে যারা স্নাতক সম্পন্ন করছেন, তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়। তবে এইচএসসি পাস প্রার্থীরাও নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া আগে কোনো মেলায় বা ইভেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। সুযোগ থাকে নতুনদেরও।

যোগ্যতা : শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতা, কাজের দক্ষতা, উপস্থাপনার কৌশল, স্মার্টনেস, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ও খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।

চাকরির খোঁজ জানবেন যেভাবে : বাণিজ্য মেলায় ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়ে থাকে। মেলায় যেসব প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে কাজ পাওয়া সহজ হয়। সে জন্য মেলা শুরুর দু-এক মাস আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এ ছাড়া মেলায় যেসব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্মী সরবরাহ করে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। আগে মেলায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ থাকে। তাই তাদের মাধ্যমেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এ বছর কাজের সুযোগ না পেলে বাণিজ্য মেলায় গিয়ে নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরের বছরের জন্য সরাসরি কথা বলে রাখতে পারেন।

সুযোগ-সুবিধা : বাণিজ্য মেলায় এক মাস খণ্ডকালীন চাকরির জন্য কর্মীরা প্রতিষ্ঠানভেদে ১৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এছাড়া নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা, রাতের খাবারও দেয়া হয়। ক্ষেত্রভেদে মোবাইল খরচ এবং যাতায়াত খরচও দেয়া হয়।

কিভাবে যাবেন :
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে রাজধানী ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এর -৩০০ ফুট রাস্তায় যেতে হবে। সেখান থেকে ঢাকা পূর্বাচল রোডে অনেক বি আর টি সি বাস, ট্যাক্সি, সিএনজি অটো, সহ যোগাযোগের জন্য অনেক গাড়ী পাওয়া যায়। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বা বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এটি রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পের পাশে অবস্থিত।


Next Post Previous Post